রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও কর্তৃপক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী ও নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা কর্তৃপক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় একাডেমিক সিলেবাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, ব্যবহারিক মূল্যায়নে ঘাটতি এবং প্রশাসনিক অনিয়ম হয়েছে। এতে চারুকলা শিক্ষার মৌলিক কাঠামো উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগে বলা হয়, চারুকলা শিক্ষাব্যবস্থা মূলত ব্যবহারিক ও সৃজনশীল নির্ভর হলেও গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় সিলেবাস অনুযায়ী নির্ধারিত ৭০ শতাংশ ব্যবহারিক ও ৩০ শতাংশ তাত্ত্বিক নম্বর বিভাজন অনুসরণ করা হয়নি। বরং পরীক্ষায় প্রায় ৭৫ শতাংশ তাত্ত্বিক ও মাত্র ২৫ শতাংশ ব্যবহারিক মূল্যায়ন রাখা হয়, যা চারুকলা শিক্ষার দর্শনের পরিপন্থী।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিভাগীয় ফলাফল প্রণয়ন কমিটি ৬০ শতাংশ ব্যবহারিক ও ৪০ শতাংশ তাত্ত্বিক মূল্যায়নের সুপারিশ করলেও বিভাগের সভাপতি সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রশ্নপত্র প্রণয়নে একক সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীদের শিল্পকর্মের পোর্টফোলিও, ক্যাটালগ, অ্যাওয়ার্ড, অ্যাচিভমেন্ট কিংবা সার্টিফিকেট উপস্থাপন ও মূল্যায়নের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
তাদের দাবি, এ ধরনের পরীক্ষা পদ্ধতি চারুকলা শিক্ষার সৃজনশীলতা ও ব্যবহারিক দক্ষতাকে অবমূল্যায়ন করে এবং শিক্ষার্থীদের শিল্পচর্চার প্রতি অনুৎসাহিত করে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ মাত্র ৬৬ দিন আগে ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়। এতে দেশের ভেতরে ও বাইরে অবস্থানরত অনেক আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
এছাড়া বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে নিয়ম বহির্ভূত ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনে প্রথম শ্রেণি বা উচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্তির হার অস্বাভাবিকভাবে কম, যা নিয়োগ ও একাডেমিক ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করে।
এ পরিস্থিতিতে চারুকলা অনুষদ শিক্ষার্থী ও প্রার্থী অধিকার রক্ষা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি দাবি উত্থাপন করেছে।
দাবিগুলো হলো: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে সিলেবাস অনুযায়ী নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণ এবং প্রার্থীদের শিল্পকর্ম মূল্যায়নের সুযোগ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ২০০৯ সালের বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়া তদন্তে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা কর্তৃপক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় একাডেমিক সিলেবাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, ব্যবহারিক মূল্যায়নে ঘাটতি এবং প্রশাসনিক অনিয়ম হয়েছে। এতে চারুকলা শিক্ষার মৌলিক কাঠামো উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগে বলা হয়, চারুকলা শিক্ষাব্যবস্থা মূলত ব্যবহারিক ও সৃজনশীল নির্ভর হলেও গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় সিলেবাস অনুযায়ী নির্ধারিত ৭০ শতাংশ ব্যবহারিক ও ৩০ শতাংশ তাত্ত্বিক নম্বর বিভাজন অনুসরণ করা হয়নি। বরং পরীক্ষায় প্রায় ৭৫ শতাংশ তাত্ত্বিক ও মাত্র ২৫ শতাংশ ব্যবহারিক মূল্যায়ন রাখা হয়, যা চারুকলা শিক্ষার দর্শনের পরিপন্থী।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিভাগীয় ফলাফল প্রণয়ন কমিটি ৬০ শতাংশ ব্যবহারিক ও ৪০ শতাংশ তাত্ত্বিক মূল্যায়নের সুপারিশ করলেও বিভাগের সভাপতি সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রশ্নপত্র প্রণয়নে একক সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীদের শিল্পকর্মের পোর্টফোলিও, ক্যাটালগ, অ্যাওয়ার্ড, অ্যাচিভমেন্ট কিংবা সার্টিফিকেট উপস্থাপন ও মূল্যায়নের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
তাদের দাবি, এ ধরনের পরীক্ষা পদ্ধতি চারুকলা শিক্ষার সৃজনশীলতা ও ব্যবহারিক দক্ষতাকে অবমূল্যায়ন করে এবং শিক্ষার্থীদের শিল্পচর্চার প্রতি অনুৎসাহিত করে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ মাত্র ৬৬ দিন আগে ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়। এতে দেশের ভেতরে ও বাইরে অবস্থানরত অনেক আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
এছাড়া বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে নিয়ম বহির্ভূত ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনে প্রথম শ্রেণি বা উচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্তির হার অস্বাভাবিকভাবে কম, যা নিয়োগ ও একাডেমিক ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করে।
এ পরিস্থিতিতে চারুকলা অনুষদ শিক্ষার্থী ও প্রার্থী অধিকার রক্ষা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি দাবি উত্থাপন করেছে।
দাবিগুলো হলো: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে সিলেবাস অনুযায়ী নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণ এবং প্রার্থীদের শিল্পকর্ম মূল্যায়নের সুযোগ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ২০০৯ সালের বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়া তদন্তে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মোঃ মাসুদ রানা রাব্বানী :